সিডনিতে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ অস্ট্রেলিয়ার শোকসভা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে সিডনিতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ অস্ট্রেলিয়া শোকসভা ও আলোচনার আয়োজন করে। অস্ট্রেলিয়ার ছোট্ট বাংলাদেশ খ্যাত লাকেম্বায় কাউন্সিল লাইব্রেরি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে চার শতাধিক ধারণক্ষমতার স্থানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৬০০ প্রবাসী বাঙালি।
শোকানুষ্ঠান শুরুর আগে ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও দোয়ার পাশাপাশি গীতার বাণী পাঠ করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি ড. সিরাজুল হক। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান কচি, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিক, লেখক ও গবেষক ড. রতন কুন্ডু, আওয়ামীলীগের বর্ষীয়ান নেতা গামা আব্দুল কাদির, শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট ড. হাসনাৎ মিল্টন, প্রাক্তন সভাপতি ড. নুরুর রহমান খোকন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান তরুণ, আইনজীবী রাজ দত্ত, মহিলা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী মিসেস কোহিনূর খান প্রমুখ।
ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় নেত্রী সানজিদা খানম। সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন যুবলীগ নেতা আল নোমান শামীম, মেলবোর্ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ড. মোল্লা হক, মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী সুলতানা সুফিয়া মিতু এবং আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল আওয়ামীলীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ। টেলিফোনের মাধ্যমে সিডনির শোকসভায় যুক্ত হয়ে তিনি ২২ মিনিটব্যাপী বক্তব্য রাখেন। তাঁর ভাষণের সময় জয় বাংলা স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পুরো হল। প্রধানমন্ত্রী তাঁর পরিবারের প্রতি সংঘটিত নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কথা তুলে ধরে বর্তমান সরকারের অবৈধতা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন।
পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ অস্ট্রেলিয়া, সিডনি আওয়ামীলীগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন শাহজাদা গাউসুল আলম, মেহেদী হাসান কচি ও দিদার হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন বিলকিস জাহান ও মোহাম্মদ আলী শিকদার। শোকসভা শেষে অতিথিদের নৈশভোজের মাধ্যমে আপ্যায়ন করা হয়।