সিডনি হারবার ব্রিজে ইসরাইল বিরোধী ঐতিহাসিক ‘মানবতার জন্য মিছিল’

প্রশান্তিকা ডেস্ক : আজ রোববার সকাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম প্রতীকী স্থাপনা সিডনি হারবার ব্রিজে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন ইসরায়েলের গণহত্যা ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে। আয়োজক সংগঠন Palestine Action Group (PAG) এই কর্মসূচির নাম দিয়েছে “March for Humanity” বা মানবতার জন্য মিছিল।
সিডনি হারবার ব্রিজে অনুষ্ঠিত এই ইসরায়েল বিরোধী সমাবেশ অস্ট্রেলিয়ায় প্যালেস্টাইনের পক্ষে অন্যতম বৃহত্তম প্রতিবাদ হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিল।
প্রশান্তিকা সূত্রে জানা গেছে, আজকের এই মিছিলে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী অংশ নেয়। সিডনিবাসী মানবাধিকার কর্মী ও এক্টিভিস্ট টিটো সোহেল তাঁর পুরো পরিবার নিয়ে গিয়েছিলেন আজকের সমাবেশে। তিনি বললেন, “ আমার মত অসংখ্য বাঙালি অংশ নিয়েছে আজকের সমাবেশে। সমাবেশ চলাকালে শুধু হারবার ব্রিজ নয়, ব্রিজসংলগ্ন পুরো সিটি নর্থ এবং নর্থ সিডনি লোকারণ্যে পরিণত হয়েছে।” টিটো সোহেল আরও বলেন, ২০০৩ সালের পরে ইরাক আগ্রাসনের প্রতিবাদে ৮০ হাজার মানুষের সমাবেশ হয়েছিলো। তারপর এইবার প্রায় দুই লাখ মানুষের সমাবেশ হয়েছে। তিনি প্যালেস্টাইনের ওপর এই বর্বরতাকে আ্যংলো- আমেরিকানদের বর্বরতা বলে অভিহিত করেন।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে PAG মুখপাত্র জোশ লিস দাবি করেছেন, এই বিক্ষোভে প্রায় ২ থেকে ৩ লাখ মানুষ অংশ নেয়, যদিও নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ প্রায় ৯০,০০০ জন উপস্থিত থাকার কথা জানিয়েছে। মিছিলটি ছিল সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। প্রিমিয়ার ক্রিস মিনস এবং NSW পুলিশের পক্ষ থেকে এই বিক্ষোভ বন্ধের চেষ্টা জনগণকে আরও উত্তেজিত করে তোলে।
অভূতপূর্ব এই সমাবেশে বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল “Free Palestine”, " Gaza needs food", " world needs humanity", “Ceasefire Now”, “Stop Arming Israel” ইত্যাদি স্লোগান লেখা ব্যানার ও পতাকা। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিল বিভিন্ন বয়স ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষ—শুধু আরব বা মুসলিম নয়, বরং অনেক অস্ট্রেলিয়ানও এই সমাবেশে সংহতি জানান। বিক্ষোভটি ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কোনো ধরনের সহিংসতা বা সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি। মিছিলের কারণে নিরাপত্তা বজায় রাখতে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হিমশিম খেতে হয়। দুই ঘন্টা পরে ব্রিজটি যানবাহনের জন্য খুলে দিতে চাইলেও সকাল এগারটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ব্রিজ বন্ধ থাকে।