সিডনিতে নূরুল আজাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভা, দোয়া মাহফিল 

সিডনিতে নূরুল আজাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভা, দোয়া মাহফিল 

প্রশান্তিকা ডেস্ক : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়ার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম নূরুল আজাদের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল সিডনিতে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ড. সিরাজুল হক। শুরুতে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাবিব হাসান টুলু।

আলোচনা সভায় মরহুমের বড় ছেলে, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিডনি অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আজাদ আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, নূরুল আজাদ শুধু সফল ব্যবসায়ীই ছিলেন না, বরং শিক্ষা বিস্তার, সমাজসেবা এবং মানুষের কল্যাণে আজীবন কাজ করে গেছেন। নিজ এলাকায় প্রাইমারি থেকে কলেজ পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন তিনি। এছাড়া অসংখ্য মানুষকে অস্ট্রেলিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হতে সহযোগিতা করেন। বক্তব্য দিতে গিয়ে ফয়সাল আজাদ আবেগে কেঁদে ফেলেন, যা হলে উপস্থিত সবার হৃদয় স্পর্শ করে।

স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন—মরহুমের সহধর্মিণী সুমী আজাদ, বোন নাজমা আক্তার, সহ-সভাপতি গাউসুল আলম শাহজাদা, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল, প্রবীণ কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব গামা আব্দুল কাদির, লেখক ও কলামিস্ট ড. কাইয়ুম পারভেজ, উপদেষ্টা ড. মাসুদুর রহমান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রহমতুল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা এনায়েতুর রহিম বেলাল, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ আলী শিকদার, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বিলকিস জাহান, কেন্দ্রীয় নেত্রী কোহিনুর খানম, আওয়ামী লীগ নেতা মুস্তাফিজুর রহমান রানা ও জাহিদ হোসেন।

বক্তারা বলেন, নূরুল আজাদ ছিলেন সিডনীর রাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র। ব্যবসার পাশাপাশি শিক্ষা, সংস্কৃতি, খেলাধুলা ও সমাজসেবায় রেখেছেন অসামান্য অবদান। তাঁর অর্থায়নেই প্রকাশিত হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার প্রথম বাংলা সংবাদপত্র স্বদেশ বার্তা। নিজ এলাকায় গড়ে তুলেছেন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ ও এতিমখানা।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান কচি। সভাপতির বক্তব্যে ড. সিরাজুল হক বলেন, “নূরুল আজাদ ছিলেন আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়ার প্রাণপুরুষ। তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করেই আমরা আজকের অবস্থানে পৌঁছেছি।”

শেষে উপস্থিত নেতাকর্মীরা মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর অবদানকে চিরস্মরণীয় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।